কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন স্পট সুগন্ধা। নামে সুগন্ধা হলেও স্পটির একাংশে দেখা গেছে দূর্গন্ধে সয়লাব। ময়লা, আবর্জনায় ভরপুর এই পর্যটন স্পটটি। দুর্গন্ধে অতিষ্ট দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা।
স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, দোকানদাররা তাদের ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে প্রতিদিন ময়লার স্তুপে পরিণত হয় এই স্পটটির একাংশ। পৌরসভার কর্মীরা এই ময়লাগুলো সঠিকভাবে সরিয়ে না ফেলায় উক্ত ময়লার স্তুপ থেকে দুগন্ধ ছড়ায়। আর এতে দুগন্ধে অতিষ্ট হয়ে অনেক পর্যটক সৈকত থেকে ফিরে যায়।
সৈকত পরিছন্ন রাখতে কর্মী নিয়োগ দিয়ে ছিল বেসরকারী মোবাইল অপারেটর কোম্পানী রবি। রবির পরিছন্ন কর্মীরায় ময়লা-আবর্জনা স্পটের এই অংশে ফেলার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দোকানদারদের অভিযোগ।
এদিকে ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মোঃ নাছিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ঢাকা থেকে এসেছি চারদিকে ঘুরাঘুরি শেষে সুগন্ধায় আসলাম। কিন্তু বীচে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটা নোংরা গন্ধ পেলাম। আর হেঁটে গেলাম ঐদিকে দেখলাম ময়লার স্তুপ পরে আছে। আর ঐ স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবিষয়ে যদি কক্সবাজারের পৌর মেয়র ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা তাদের নজরদারি বাড়ালে এই সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমেদ নোবেল বলেন, স্থানীয় হকার ব্যবসায়ীদের গাফালতির কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এরফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পর্যটকরা। এই সমস্যা সমাধানে পৌরসভার মেয়রের ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। সামনে বীচ কার্নিবালের আয়োজনও রয়েছে পর্যটন নগরীতে। চলতি বছরে বিদেশী পর্যটকের তেমন কোনো সাড়া না পড়লেও দেশীয় পর্যটকে ভরপুর দেশের এই পর্যটন নগরী।
এবিষয়ে জানতে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com