শীত মৌসুম আসলেই বেড়ে যায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে পর্যটকদের আনা-গোনা। যার ফলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করলেও মাঝে মধ্যে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। এসব ঘটনা এড়াতে এবার মৌসুমের শুরুর আগে থেকে ৬ সতর্ক বার্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের নির্দেশে পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী সৈকত সংশ্লিষ্টদেরকে এ সতর্কতা জারি করেন।
পর্যটন সেল সুত্রে জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের অন্তত ৪টি পয়েন্টে পর্যটক হয়রানীর জন্য ক্যামেরাম্যানদের দায়ী করা হয়। যা পরবর্তী জেলা প্রশাসন পর্যালোচনা করে তার প্রমান পায়। যাতে আগামী মৌসুমে পর্যটক হয়রানী বন্ধে এসব ক্যামরাম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে লাবণী পয়েন্টে জড়ো করে ৬ সতর্কতা সম্পর্কে অবহিত করেন পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।
জেলা প্রশাসনের সেই ৬ সতর্ক বার্তা হলো, পর্যটকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অশোভ আচরণ বন্ধ, নিয়মের মূল্যে ছবি উঠাতে হবে, ক্যামরাম্যানরা বীচ এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে পারবে না। লাল রংঙের দেয়া টি-শার্ট পরিধান করতে হবে। পর্যটকদের অনুযায়ী ছবি তোলতে হবে, তাছাড়া জোর করা যাবে না। এসব নির্দেশনা কেউ ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুসা নাসের চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, সমুদ্র সৈকতের দুইটি পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের অভিযোগ বক্স রয়েছে। সেখানে সম্প্রতি দেয়া অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখে গেছে বেশীরভাগ অভিযোগ ক্যামরাম্যানদের বিরুদ্ধে। তাই এসব কাজ থেকে বিরত থাকার তাদের সতর্ক করা হয়েছে পাশাপাশি অন্যান্যরা এসব নির্দেশনা মেনে চলার কথা জানানো হয়েছে। যদি কেউ ভঙ্গ করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার এ প্রতিবেদককে বলেন, জেলা প্রশাসন কখনো পর্যটক হয়রানী মেনে নেবে না। তাই আজকে মৌসুম শুরুর আগে সবাই এ বিষয়গুলো অবগত করা হয়েছে। যদি কউে না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com