বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যেখানে প্রতিনিয়ত দেশী-বিদেশী পর্যটকের আনাগোনা থাকে। এ পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাই। স্থানীয়দের দাবি শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০ স্পটে অপেক্ষাকৃত কিশোর বয়সী ছেলেরা এ ছিনতাইয়ে জড়িত।
সূত্রে জানায়, পর্যটন নগরী কক্সবাজারে মাদকের চাহিদা মেটাতে উড়তি বয়সী কিশোররা ১০ পয়েন্টে ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পড়ছে। পর্যটন শহর কক্সবাজারে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাই। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি স্পটে উড়তি বয়সী কিশোরদের একটি অংশ এ ছিনতাই কাজে জড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে, সার্কিট হাউজ সড়ক, জাম্বুর মোড়, সুগন্ধা পয়েন্টে, লাবনী পয়েন্ট, বালিকা মাদ্রাসা পয়েন্ট, ডায়বেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট, বিমান বাহিনীর নতুন রাস্তার মাথা, লালদিঘীর পাড়, টেকপাড়া, বার্মিজ স্কুল সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বজনদের দেখতে আসে চকরিয়ার ডুলহাজারা এলাকার বাসিন্দা স্বামী- স্ত্রী দুইজন। বৃহস্পতিবার ভোরে শহরের সার্কিট হাউজ এর নিচে তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যে মারধর করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
পুলিশ জানায়, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর থেকে কক্সবাজারে বিদেশী এনজিওসহ সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশও কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্বীকার করে ছিনতাই রোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
গত কয়েক মাস আগে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া এক তরুণী বলেন, “শহরের টেকপাড়া এলাকার সিকদার মহলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এক যুবক আমার পেছন থেকে চুরি দেখিয়ে মোবাইল দিতে বলে। কিন্তু আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আমি মাটিতে পড়ে গেলে সে আমার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া করি। তার সাথে দীর্ঘ হাতাহাতি হওয়ার পর আমার মোবাইল ফেলে ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। এতে আমার শরীরে মারাত্বক জখম হয় ”।
সচেতন মহলের মতে, শহরে বিনোদনের নির্ধারিত স্থান স্বল্পতা, মাদকের টাকা যোগাড় করতে এ ছিনতাই। এমুহুর্তে কক্সবাজারে কয়েক হাজার বিদেশীর অবস্থান। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় লোকজন। এর জন্য পুলিশকে কঠোর হওয়ার আহবানও তাদের।
পর্যটকের আনাগোনা বেশি হওয়ায় শহরের সাংকৃতিক কেন্দ্র সহ বেশ কিছু পয়েন্টে ছিনতাই হচ্ছে স্বীকার করে কক্সবাজার কটেজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমেদ নোবেল বলেন অন্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রশাসন হার্টলাইনে রয়েছে। বর্তমানে কটেজ জোনসহ পুরো শহর সিসিটিভির আওয়াতায় আনায় কিছুটা ছিনতাই কমেছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, কক্সবাজারে সব ছিনতাইকারীকে আইনের আওতায়া আনা হবে। শহরের যে কয়েকটি পয়েন্টে ছিনতাইয়ের ঘটনা আশংকা করা হচ্ছে, ওই সব স্থানে ছিনতাই রোধে বিশেষ অভিযান চলছে। অভিযানে অনেক চিহ্নিত ছিনতাইকারিও আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ছিনতাই রোধে পুরো শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এসপি মাসুস হোসেন বলেন, পর্যটন শহর যে কোনভাবে ছিনতাই সহ অপরাধ মুক্ত রাখতে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মত সকলের।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com