২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তা প্রশ্নাতীতভাবে যুদ্ধাপরাধের শামিল।
মঙ্গলবার (২ জুন) জেনেভায় জাতীসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াং লি এ কথা জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের হিংস্র আক্রমণের ফলে অন্তত ছয় হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত ও আট হাজারেরও বেশি আহত হন। এছাড়া আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীরা পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পুনরুদ্ধারের নামে বেসামরিক নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
মিয়ানমার সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাখাইন জুড়ে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বর্তমানে রাখাইন ও চিন প্রদেশগুলোতে জাতিগত বিদ্রোহীদের দমনের অজুহাতে সেখানকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে।
ইয়াং লি বলেন, ‘গত সপ্তাহে রাখাইনে মোবাইল ফোনের ব্ল্যাকআউটের পরে সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।’
তিনি এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের আরাকান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ এবং দক্ষিণ চিন রাজ্যের কিছু অংশে গত কয়েক মাস ধরে সংঘর্ষ চলছে। এর ফলে বেসামরিক জনগণের ওপর চলছে বিধ্বংসী নির্যাতন। সে দেশের সেনাবাহিনী অনেক ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম থেকে ৫০ জনকে অপরহরণ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।’
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com