কক্সবাজার বিমানবন্দরে এক নারীকে হয়রানীর তথ্য জানতে গেলে দৈনিক দৈনন্দিনের প্রতিবেদকের পরিচয় নিশ্চিত হতে কথিত হাজী সাহেবকে ফোন দিয়ে বসেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর কক্সবাজারের ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক তালুকদার।
সোমবার (২২ জুলাই) বিকেলে এমন ঘটনা ঘটে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে। বিমানবন্দর থেকে শরীরে অবৈধ মালামাল রয়েছে এমন অজুহাতে সুলতানা রাজিয়া শামীমা নামে এক নারীকে হয়রানী করে ‘ডিএনসি’ কক্সবাজারের একটি টিম। তার নেতৃত্বে ছিলেন ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক।
এবিষয়ে জানতে ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক তালুকদারকে প্রথমে ফোন করেন দৈনিক দৈনন্দিনের স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) মুহিববুল্লাহ মুহিব। কিন্তু তিনি মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না বলেন। পরে তাকে অফিসে আমন্ত্রণ জানান। যাওয়ার পর প্রথমে ক্ষিপ্ত ভাষায় কথা বলতে থাকেন ইন্সপেক্টর মালেক। এক পর্যায়ে সাংবাদিক নামধারী এক হাজী সাহেবকে ফোন করেন তিনি।
ইন্সপেক্টর আব্দুল মালেক তালুকদার হাজ¦ী সাহেবকে বলেন, হাজী সাহেব কোথায় আপনি..?। আমার এখানে মুহিববুল্লাহ মুহিব নামে এক সাংবাদিক এসেছেন, চেনেন নাকি..?। ততক্ষণে বুঝার বাকি নেয় তিনি সাংবাদিক মুহিবকে নির্ণয় করছেন। হাজী সাহেব অপর পাশ থেকে বলছেন তিনি আমার ছোট ভাই অসুবিধা নেয়। কোন সমস্যা নেয়। এরপর থামল ক্ষিপ্ত ডিএনসি কর্মকর্তা।
পরে খবর নিয়ে জানা যায় তিনি (হাজী সাহেব) কক্সবাজারের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের রিপোর্টার। এক সময়ে ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল নেতা হলেও বর্তমানে সাংবাদিক সেজে প্রশাসনের দফতরে-দফতরে ঘুরে বেড়ান।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com