বড় মহেশখালীর গুলগুলিয়া পাড়ায় দুই পক্ষের তুচ্ছ ঘটনা থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পিতা, পুত্র সহ ৫ জন। তাদেরকে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বড় মহেশখালী গুলগুলিয়া পাড়া এলাকায় কবুতর হারানো বিষয়ে রহিম পুত্র সাদুল করিম এর সাথে শুক্রবার ১০ টায় মো বকসু বৈদ্দ্য এর পুত্র আবুল খালেকের মধ্যে মারামারির ঘটনা সৃষ্টি হয়। এ সময় আব্দুল খালেক গংরা সাদুল করিমকে মারধর করার সময় দূর থেকে এগিয়ে এসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেন স্থানীয় নবাব আলী মিস্ত্রি ও তার ছেলেরা। কিন্তু পরক্ষনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী মৃত মোঃ বকসু বৈদ্দ এর পুত্র আব্দুল খালেক, আব্দ ছফুর, আব্দুল মালেক, মোঃ শরীফ, আব্দুল মোনাফগংরা নবাব আলী মিস্ত্রি, ছালামত উল্লাহ, ফোরকান, সাদুল করিম ও নছিমা বেগমকে ব্যাপকভাবে কোপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের মহেশখালী নিয়ে এসে চিকিসার ব্যবস্থা করে।
এদিকে সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার এসআই মাহমুদুল করিম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতদের অবস্থা গুরুতর। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ ও ৪নং আসামী নছিমা বেগমের মাথার চুল, পরনের কাপড়ছোপড় ধরিয়া, টানাটানি করিয়া, ফাটিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করে। ইহাতে নারীর শ্লীতাহানি ঘটায় বলে জানাযায়। এদিকে জানাযায় গুরুতর আহত ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নবাব আলী মিস্ত্রির বাড়ী চাদপুর জেলায় হওয়ায় তাকে গুলগুলিয়া পাড়া গ্রাম থেকে বিতাড়িত করতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়মিত ভাবে হয়রানী করে আসছে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে যে সকল সন্ত্রাসীগণ হামলা চালিয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় সোপর্দ করার আহ্বান জানান আহত নবাব আলী মিস্ত্রির স্ত্রী রাহেনা বেগম।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com