টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ি নিহত এবং বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার এবং জব্দ করা হয়েছে একটি অটোরিক্সা।
বুধবার ভোর রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান খান।
নিহত মোহাম্মদ ইব্রাহিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকার বাসিন্দা।
বিজিবির দাবি, ইব্রাহিম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। লে. কর্ণেল ফয়সল বলেন, বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ এলাকা দিয়ে ইয়াবা বড় একটি চালান পাচার হওয়ার খবরে বিজিবির একটি দল অবস্থান নেয়। বিজিবি পরে খুরেরমুখ এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কের উপর একটি অস্থায়ী তল্লাশী চৌকি বসায়।
“ এক পর্যায়ে একটি অটোরিক্সা তল্লাশী চৌকির দিকে আসতে দেখে থামার নির্দেশ দেয়। এসময় অটোরিক্সাটি থেকে ৩/৪ জন লোক বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। বিজিবির সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে বিজিবির ২ সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পাওয়া যায় ২০ হাজার ইয়াবা, ১ টি দেশিয় তৈরী বন্দুক, ২ টি গুলি ও ২ টি কিরিচ দা এবং জব্দ করা হয় একটি অটোরিক্সা। ”
বিজিবির এ ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক বলেন, “ গুলিবিদ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে বিজিবির সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ছেড়ে দেয়া হয়। গুলিবিদ্ধের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে আনার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ”
ফয়সল বলেন, নিহত মোহাম্মদ ইব্রাহিম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। মাদক ব্যবসায় জড়িত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিজিবির কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে। এছাড়া টেকনাফ থানায় মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com