গত সংসদ নির্বাচনে ইয়াবার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অভিযোগ থাকায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাননি উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি। পরে তার স্ত্রী শাহিন আক্তারকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।
ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিতও হয়েছে বদির স্ত্রী। কিন্তু এরপর থেকে যেন বদলাতে শুরু করে আলোচিত সাবেক সাংসদ বদির রাজনীতির মোড়। দূরে সরে যেতে শুরু করে ক্ষমতায় থাকাকালীন সব দলীয় নেতাকর্মী বা সুবিধাভুগীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি সভায় কেন্দ্রীয় চার নেতা উপস্থিতিতে যখন ছোট-বড় নেতাকর্মী বা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন তখনও বঞ্চিত উখিয়া-টেকনাফের আব্দুর রহমান বদি। বক্তব্য শুনছিলেন তিনি। এক পর্যায়ের মঞ্চে বসে থাকা বদির চোখে-মুখে হতাশার চাপ লক্ষ্য করা যায়। জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা বদি।
উল্লেখ্য, ২০০৮-২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর ধরে ক্ষমতাসী আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার প্রথম দিক থেকে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, বনকর্মকর্তা, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধ ও নিজ দলীয় নেতাকর্মী সহ একাধিকজনকে মারধর করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন। একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের করা মাদকের তালিকায় পৃষ্টপোষক হিসাবে শীর্ষে থাকা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে নানাভাবে আলোচিত সমালোচিত হন। এজন্য ২০১৮ সালের জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে তার স্ত্রী শাহিনা আকতারকে মনোনয় দেয় আওয়ামীলীগ। এতে শেষ বারের মতো দেশব্যাপী আলোচিত হন এই সাবেক সাংসদ।
অন্যদিক, ১০ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে তার নির্বাচনী এলাকা উখিয়া ও টেকনাফের হতদরিদ্র পরিবারদের সহায়তা দেয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। গত কয়েক বছর ধরে আলোচিত এই নেতা বছরে কেবল ১৯ কোটি টাকার মতো খরচ করেন চাল বিতরণে। মাসে টেকনাফে ৫৬ হাজার দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করেন তিনি। এর বাইরে চিনি, দুধ, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ডাল এবং ছোলাও বিতরণ করেছেন। তাই এ আলোচিত সাংসদকে প্রতিনিধি সম্মেলনের মত গুরুত্বপুর্ণ অনুষ্ঠানে তাকে বক্তব্য না দেয়া খুবই হতাশাজনক বলছে সিনিয়র নেতারা।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com