কক্সবাজার জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ৮ গুণের বেশী বন্দি নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। ১২ দশমিক ৮৬ একর আয়তনের জেলার এ কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৫৩০ জন। কিন্তু বর্তমানে এ কারাগারে অবস্থান করছেন ৪ হাজার ২৯২ জন বন্দি। ধারণ ক্ষমতার ৮ গুণের বেশি বন্দি নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে স্বয়ং কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ জানান, কক্সবাজার জেলা কারাগারের আয়তন ১২ দশমিক ৮৬ একর। যার মধ্যে কারাভ্যন্তরের পরিমাণ ৮ দশমিক ০৯ একর। বাইরের পরিমাণ ৪ দশমিক ৭৭ একর। ২০০১ সালের ২৭ মে উদ্বোধন হওয়া কারাগারটির ধারণ ক্ষমতা ৫৩০ জন। যার মধ্যে ৪৯৬ জন পুরুষ এবং ৩৪ জন নারী বন্দি থাকার কথা। বর্তমানে এ কারাগারে বন্দি রয়েছে ৪ হাজার ২৯২ জন বন্দি।
জেল সুপারের দেয়া তথ্য মতে, বর্তমানে নারী বন্দির সংখ্যা ২৬৯ জন। অন্যান্যরা পুরুষ বন্দি। ওখানে ২ নারী, ২ পুরুষ বন্দি রয়েছে যারা ভারতের নাগরিক। এছাড়া ৪৩৩ জন রয়েছে মিয়ানমারের নাগরিক। বিদেশীদের মধ্যে ৫ জনের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
ধারণ ক্ষমতার ৮ গুণের বেশি বন্দি নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে কর্তৃপক্ষ। সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া কয়েকজন বন্দির সাথে আলাপকালে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ওয়ার্ডে। রাত্রিকালিন স্থানের অভাবে ঘুমানো অনেক কঠিন। জেল জীবনে এ ঘুমানোর চেয়ে জটিল কিছু হতে পারে না। একদিকে গরম। এ গরমে পানির সংকটও রয়েছে। ৫৩০ জনের জন্য মজুদ করা পানি ব্যবহার করতে হয় ৪ হাজারের বেশি বন্দিদের। সমস্যার মধ্যে পায় নিষ্কাশন ব্যবহার ভয়াবহতা রয়েছে। এতে বন্দিদের অনেকেই চরম অসুস্থ বোধ করে থাকেন।আর দর্শনার্থী আত্মীয় স্বজনদের ভীষণ চাপের কারণে দেখা সাক্ষাত করা কঠিন।
সমস্যা হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. বজলুর রশিদ আখন্দ। তিনি বলেন, ৮ গুণের বেশি বন্দি সামাল দিতে কিছুটা ভোগান্তি তাদেরও পোহাতে হচ্ছে। তবে ২ শত ধারণ ক্ষমতার একটি নতুন ভবণ নিমার্ণ শেষ দিকে। জুন মাসে এটা উদ্বোধন হবে। এটা হলে সমস্যা কিছুটা কমবে। বর্তমানে সমস্যা কারা কর্তৃপক্ষ কৌশলে সামাল দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com