থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন তার দেহরক্ষীদের উপপ্রধানকে বিয়ে করে রাণীর মর্যাদা দিয়েছেন। রাজকীয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবিসি বলছে, শনিবার যখন ভাজিরালংকর্নের আনুষ্ঠানিক রাজ্যাভিষেক হতে যাচ্ছে তখন এ ধরনের ঘোষণা আসলো।
দেশটি রাজকীয় সংবিধান অনুযায়ী ২০১৬ সালে পিতা ভুমিবল আদুলিয়াডেজের মৃত্যুর পর থাই রাজা হন ৬৬ বছর বয়সী ভাজিরালংকর্ন। ভুমিবল ছিলেন বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা রাজা। যিনি ৭০ বছর দেশটির রাজা ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভাজিরালংকর্ন তিন বার বিয়ে করেছেন এবং তালাক দিয়েছেন। তার সাত সন্তান রয়েছে।
রাজকীয় বিবৃতির বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, রাজা ভাজিরালংকর্ন জেনারেল সুথিদা ভাজিরালংকর্ন না আইয়ুধিয়াকে রাণী সুথিদা হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি রাজকীয় উপাধি ব্যবহার করবেন।
উল্লেখ্য, ভাজিরালংকর্নের দীর্ঘ সময়ের পার্টনার হলেন রাণী সুথিদা এবং অনেক বছর ধরেই তাদের দুইজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে। তবে তাদের সম্পর্কের কথা এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি।
এর আগে বুধবার থাই টিভি চ্যানেলে বিয়ের অনুষ্ঠানের ফুটেজ প্রচার করা হয়। যেখানে রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি ছিলেন রাজপ্রাসাদের উপদেষ্টারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাজা তার রাণীর মাথায় ‘পবিত্র’ পানি ঢালছেন। তার পর তারা একটি বিবাহ রেজিস্ট্রিতে সই করেন।
থাই এয়ারওয়েজের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট (বিমানবালা) সুথিদা টিডজাইকে ২০১৪ সালে ভাজিরালংকর্ন তার দেহরক্ষীদের উপ-কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তাকে সেনাবাহিনীর পূর্ণ জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com