সারাদেশে ডেঙ্গু আগ্রাসন হলেও একেবারে ভিন্ন পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ডেঙ্গু রোগি হয়ে যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের বেশীর ভাগই জেলার বাহির থেকে আসা। অনেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তাই সতর্কতা থাকলেও আতংকের কিছু নেই বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
কক্সবাজারের স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালটি। ২৫০ শয়্যার হলেও হাসপাতালে বর্তমানে রোগীর চিকিৎসা চলছে ৬ শতাধিকের বেশী।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৯ জন, বর্তমানে ভর্তি আছেন ২১, তিনজনকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। যাদের বেশীরভাগই বাহির থেকে এসেছেন।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের সঠিক সেবা ও প্রতিরোধে তিন স্তরের ব্যবস্থা নিয়েছে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল। গঠন করা হয়েছে- ডেঙ্গু সেল, হেল্প ডেস্ক ও ব্যবস্থাপনায় সহযোগীতা টিম। ডেঙ্গু সেলে রয়েছেন ৪ জন, হেল্প ডেস্কে ৩ জন ও ব্যবস্থাপনা টিমে রয়েছেন ৬ জন চিকিৎসক।
ডেঙ্গু সেলের প্রধান ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সদস্য সচিব ডা: নোবেল কুমার বড়–য়া দৈনন্দিনকে বলেন, যে সকল রোগী আসছেন তাদেরকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসনা সেবা দিচ্ছি। যারা আমাদের কন্ট্রোলে নেই তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মো. মহিউদ্দিন দৈনন্দিনকে বলেন, হাসপাতালে আগত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের যথাযথভাবে দেখাশুনা করার জন্য ও সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে। তিন স্তরে কঠোর নির্দেশনার পাশাপাশি নেয়া হয়েছে প্রস্তুতিও। যারা ভর্তি হচ্ছে তারা বাহির থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা। তাই কক্সবাজারে আতঙ্কের কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, শুধু নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনার চারপাশ পরিস্কার ও মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমানোসহ কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করলেই ডেঙ্গু থেকে মুক্তি মিলবে। আমরা সে লক্ষ্যে কয়েকটি প্রচার পত্রও বিতরণ করেছি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটন শহর হিসেবে যতটুকু সম্ভব প্রতিরোধের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সমুদ্র্র সৈকতের এগারটি পয়েন্টে এ অভিযান চলছে। ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে নিতে পর্যটন সেলের দায়িত্বরতরা কাজ করছে।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com