টেকনাফ ও উখিয়ায় পৃথক ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা সহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৫ আগস্ট) ভোর রাত ৪ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর দুই নম্বর স্লুইচ গেইট ও ভোর ৫টার দিকে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের রূপপতি এলাকায় এ পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং ২ এর মৃত হায়দার শরীফের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৭), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াবাজার এলাকার মৃত জলিল আহমদের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও উখিয়ার কুতুপালং ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক,ই-০১ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো: আয়ুব (২২)।
টেকনাফের ২নং বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে, কর্ণেল মো. ফয়সল হাসান খান জানান, গোপন সূত্রে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার বড় চালান নাফ নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে-এমন খবর পায় বিজিবি। এর পরিপ্রেক্ষিতে খারাংখালী নাফনদীতে বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল অবস্থান নেয়। ভোর রাত ৩ টার দিকে ৪/৫ জন লোককে এ পারে ঢুকতে দেখে তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ করা মাত্রই বিজিবির ওপর গুলি ছুঁড়তে থাকে পাচারকারীরা। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। কিছু সময় গুলি বিনিময় হওয়ার পরে অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় ঘটনাস্থল হতে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র দুইটি কিরিচ ও চার রাউন্ড তাজা কর্তূজ উদ্ধার করা হয়। একইভাবে দুইজন যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন।মৃতদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। এব্যাপারে বিজিবি বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
অপরদিকে, কক্সবাজার ৩৪নং বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, রেজুখাল যৌথ চেকপোষ্টে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা রাতে উখিয়া উপজেলার ১নং জালিয়া পালং ইউনিয়নের রুপপতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নামক স্থানে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানের সময় টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী ১টি মোটর সাইকেল আসতে দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বিজিবি’র সংকেত অমান্য করে বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় বিজিবির সদস্যরাও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি শুরু করে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০-১২ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে রাতের অন্ধকারে মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে এক অজ্ঞাত যুবককে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে ওই যুবকের মৃতদেহ সনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় একটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক, ২টি কার্তুজ ও ২ হাজার ৯৫০পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহদের মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে উখিয়া থানায় বিজিবি বাদি হয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com