করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে সারা দেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। এরই আলোকে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবাগত (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ সার্বিক তত্বাবধানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব সুরক্ষা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এ দুর্যোগে করোনাভাইরাস থেকে আত্মরক্ষার্থে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কক্সবাজার জেলাকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে চকরিয়া বাটাখালী এলাকায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ করার দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক ব্যক্তিকে ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে ওই বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩এপ্রিল) দুপুরে পৌরসভার বাটাখালী এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি বিল্ডিংয়ের কাজ করার দায়ে ১ জনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তানভীর হোসেন বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্টেশন ও বাজার এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এবং দোকানপাঠ, বাজার ও খেলার মাঠে জনসমাগম না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে সব শ্রেণী পেশার মানুষজনকে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়েছিল। তাছাড়া প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঘরের বাইরে বের না হতে মাইকিং করেও নির্দেশনা দেয়া হয় এবং কোন ধরণের কনস্ট্রাকশন (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজ না করার জন্য নিষেধ করা হয়৷
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ না মেনে চলার দায়, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখা, নিয়মের বাহিরে কাজ করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় নির্দেশনা অমান্য করে বাটাখালী এলাকায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ করার দায়ে এক ব্যক্তিকে ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com