চকরিয়ায় একই ঘরের দুই রুমে সম্পর্কে খালা-ভাগ্নি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘরের অভিবাবকেরা বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে ৩১ আগস্ট ভোররাত দুইটায় উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডস্থ বেড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর প্রভাবশালী ধর্ষকরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দু’দিন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
পরে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ধর্ষণে শিকার হওয়াদের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি এজাহার থানায় দায়ের করার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। বর্তমানে দুই ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে থানার ওসি একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ আগস্ট দুই কিশোরীর মা-বাবারা কক্সবাজার বেড়াতে যায়। পরস্পর আত্মীয় খালা-ভাগ্নি একঘরে অবস্থান করে। ৩১ আগস্ট ভোররাত দুইটার দিকে কাঁচা ঘরের দরজা খুলে বিএমচরের বেড়াপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ মুসা (২১) ও একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল ইসলাম পুতু (২০) ঘরে প্রবেশ করে। পরে দুই কিশোরীকে দুই রুমে আটকে ধর্ষণ করে তারা।
অভিভাবকদের উদ্বৃতি দিয়ে ওসি আরো বলেন, ঘটনার পর সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে ধর্ষণ ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চালানো হয়। আপোষ না হওয়ায় সোমবার রাতে থানায় দুই কিশোরীর পক্ষে একজনের মা ও অপরজনের বাবা বাদী হয়ে পৃথক দুটি এজাহার দিয়েছেন।
এঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ টিমকে অভিযানে নামানো হয়েছে। রাতেই এজাহার দুটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হবে।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com