পেকুয়া উপজেলার সদরের দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকার বাসিন্দা হাসান আলী। তাদের পৈত্রিক ১০ শতক জমি নিজের নামীয় খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে নেন তারই প্রতিবেশী ছৈয়দ আহমদ। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পেকুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে একটি মিস মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ সালে দায়েরকৃত মামলাটি সেসময় তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলা হয় পেকুয়া উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো শান্তি জীবন চাকমাকে।
মামলার বিষয়টি সেসময় সরেজমিনে তদন্ত করে আসেন কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি আজ পর্যন্ত দেননি তদন্ত প্রতিবেদন। দাবীকৃত ঘুষ না পাওয়ায় তিনি এমনটি করছেন বলে অভিযোগ মামালার বাদী পক্ষের।
একইভাবে শুধুমাত্র ঘুষের দাবীতে আটকে রাখা হয়েছে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার মাস্টার নুরুল কাদের, মাতবর পাড়া এলাকার সোনিয়া মোস্তাফা চৌধুরী ও মগনামা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মৌলভী নুর মোহাম্মদের মিস মামলার প্রতিবেদন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভূমি সংক্রান্ত কোন কাজে গেলে সেবাপ্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেন কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা। ঘুষের দাবীতে তিনি এ হয়রানি করে থাকেন। বছরের পর বছর ঘুরেও তার কাছ থেকে কোন কাজ আদায় করা যায়না। কিন্তু ঘুষের অর্থ পেলেই মূহুর্তেই করে দেন সব নিয়ম অনিয়ম। ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী ও চিহ্নিত কিছু দালালের সমন্বয়ে পেকুয়া ভূমি অফিসে তিনি গড়ে তুলেছেন ঘুষের সম্রাজ্য। চিহ্নিত দালালদের মাধ্যম ছাড়া ভূমি অফিসের কোন সেবা পান না সেবাপ্রার্থীরা।
ভুক্তভোগী মাস্টার নুরুল কাদের বলেন, গত মার্চে দায়ের করা আমার একটি মিস মামলার প্রতিবেদন আটকে রেখেছেন কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা। তার দাবীকৃত বিশাল অংকের ঘুষ দিতে না পারায় আমি খুব হয়রানি হচ্ছি। দালালদের মাধ্যমে কাজ না করাতে আমার এ দশা।
এব্যাপারে পেকুয়া ভূমি অফিসের কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা বলেন, অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে অসাধু কিছু ব্যক্তি এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোন অনৈতিক কাজে জড়িত নই।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈকা শাহাদাত বলেন, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Copyright @ 2019
Development by: webnewsdesign.com