রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ নিজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় প্রতারণার মামলায় আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন।
করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদের বাবা সিরাজুল করিম। নিজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় প্রতারণার মামলায় আসামি হয়ে সাহেদ পলাতক রয়েছেন।
ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তিনি মারা সিরাজুল।
ইউনিভার্সেল মেডিকেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রায় ৭০ বছর বয়সী সিরাজুলকে গত ৪ জুলাই ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করেন সাহেদ। ভর্তি করার সময় সাহেদ তাদের জানিয়েছিলেন, তার বাবার কভিড-১৯ সংক্রমণ নেই।
আশীষ কুমার বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল, এর আগে তিনটি পরীক্ষায় সিরাজুলের কভিড-১৯ নেগেটিভ আসে। কিন্তু তার লক্ষণ দেখেই মনে হয়েছে করোনা আক্রান্ত। আমাদের এখানে পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে।’
জানা গেছে, ভর্তির পর প্রথম দুই দিন সাহেদ তার বাবাকে দেখতে যান। তবে ৬ জুলাইয়ের পর থেকে এখানে তাদের আর কেউ আসছিলেন না।
ইউনিভার্সেল মেডিকেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘উনার মৃত্যুর পর সাহেদের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সাহেদের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।’
পরে সাহেদের স্ত্রী একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছেন। রাতে সিরাজুলের মরদেহ তার প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
করোনার ভুয়া সনদ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গত ৬ জুলাই রাতে সাহেদসহ রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছে র্যাব। এ নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হলো।
মঙ্গলবারের মামলায় র্যা বের অভিযানে আটক সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এদিন সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকেও রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এছাড়া রিজেন্ট গ্রুপের কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালের শাখা দুটি সিলগালা করা হয়েছে।