চলমান করোনাযুদ্ধে জয়ী হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারেও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবেলাকে একটি যুদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেক সেনাসদস্যকেও এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান। এর মধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে। তারই আলোকে কক্সবাজারে নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন সেনাবাহিনী।
বুধবার (২২ এপ্রিল) থেকে পর্যটন জেলা কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার চকরিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আজিজনগরে নিজস্ব উদ্ভাবনী উপায়ে প্রস্তুতকৃত বিশেষায়িত একটি বুথ স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। লকডাউনকৃত কক্সবাজার জেলায় জরুরি প্রয়োজনে প্রবেশকৃত গাড়িসমূহ জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশ করাচ্ছে সেনাসদস্যরা।
আর গত মঙ্গলবাল (২১ এপ্রিল) কক্সবাজারের প্রবেশদ্বারে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মাঈন উল্লাহ চৌধুরী।
এছাড়াও কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাসদস্যদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি। পরিদর্শনের সময় তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাসদস্যদের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রশংসা করেন এবং কঠিন এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণকে আশ্বস্ত করা ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য টহলরত সেনাসদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ উদ্ধর্তন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিকে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য নির্ধারিত রেশন সামগ্রীর একাংশ বাঁচিয়ে খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র, কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে কক্সবাজারে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও আটা। লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের সংকট দূর করতেই সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা। এই খাদ্যসহায়তা পেয়ে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অসহায় হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com