শ্বশুর বাড়িতে স্বামীর চাহিদা মত যৌতুক দিতে না পারায় অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন উখিয়ার সোনারপাড়ার গৃহবধূ গোলতাজ বেগম। স্বামী ও শ^শুরের মারধরের কারণে এখন যন্ত্রানায় কাতরাচ্ছে অসহায় পিতার বাড়িতে। চিকিৎসা করানোর মত সহায় সম্বল না থাকায় তার এ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে সে।
নির্যাতিত গৃহবধূ উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া ঘাটঘর এলাকার মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ মাতুর মেয়ে। গত তিন বছর আগে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার তৈয়ম মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। গত তিন বছর সংসারে তার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ গোলতাজ বেগম জানান, বিয়ের দুয়েক বছর খুব ভালভাবে সংসার চলে তার। কিš‘, সম্প্রতি যৌতুকের জন্য স্বামী শাহাব উদ্দিন ও শ^শুর তৈয়ব মিয়া বার বার ছাপ সৃষ্টি করে। কোন উপায়ন্তর না দেখে সম্প্রতি অসহায় পিতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসাবে এনে দেয়। কিš‘, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে আবারও একলাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে ছাপ সৃষ্টি করে। এতে অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী ও শ^শুর মিলে বেধড়ক মারধর করেন। পরে হত্যার চেষ্টা চালায়। ওই দিন রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় পিতার বাড়ি সোনারপাড়াতে চলে আসে। এখন টাকার অভাবে যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা তো দূরের কথা, সঠিক চিকিৎসা সেবাও করতে পারছেন না।
গোলতাজ বেগমের পিতা মোহাম্মদ হোসেন মাতু বলেন, আমার মেয়েকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে। আমি যৌতুক লোভী স্বামী ও শ^শুরের বিচার চাই। এ ব্যাপারে আইনী সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com