উখিয়ার রত্নাপালংয়ে চাঞ্চল্যকর ‘চার খুনের’ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনার ১৪ দিন পর আলোচিত এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার দেখানো হল। পুলিশ বলছে, আলোচিত ৪ খুনের ঘটনায় ২ জন জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হল।
গ্রেফতার হওয়া ২ জন হলেন, রোকন বড়ুয়ার ভাই শিপু বড়ুয়ার স্ত্রী রিকু বড়ুয়া ও রামু উপজেলার রাজারকুলের রামকূট এলাকার রোমেল বড়ুয়ার পুত্র উজ্জ্বল বড়ুয়া।
রিকু বড়য়া এ ঘটনায় নিহত শিশু কন্যা সনি বড়ুয়ার মা এবং উজ্জ্বল হলেন রোকেন বড়ুয়ার ভাগিনীর স্বামী।
উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর জানান, উখিয়ার আলোচিত ৪ খুনের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ২০ জনকে। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে এ ২ জন জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলতে রাজী নন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের যে কোন সময় উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের পূর্ব রত্নাপালং গ্রামের বাসিন্দা প্রবীন বড়ুয়ার ছেলে কুয়েত প্রবাসী রোকেন বড়ুয়ার বাড়ীতে একই পরিবারের ৪ সদস্যকে জবাই করে খুনের ঘটনা ঘটে। এতে নিহতরা হল, রোকেনের মা সুখী বালা বড়ুয়া (৬৫), স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৬), ছেলে রবীন বড়ুয়া (২) এবং ভাই শিপু বড়ুয়ার মেয়ে সনি বড়ুয়া (৬)।
এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে রোকেনের শ্বাশুড় শশাংক বড়ুয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামীদের করে উখিয়া থানায় মামলা করেন। বর্তমানের মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন ওসি (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার।
ঘটনার দিন প্রবাসী রোকেন বড়ুয়া কুয়েতে অবস্থান করছিলেন। খবর শুনে তিনি ঘটনার পরদিন দেশে ফেরেন।
এদিকে খুনের ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পিবিআই এবং সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মামলার বাদী ও স্বাক্ষী এবং নিহতদের স্বজন ও প্রতিবেশীসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com