বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আরও শক্তিশালী হয়েছে। আবাহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৯৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে দিক পরিবর্তন না করলে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাতের দিকে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড়টি এমন তথ্য দিচ্ছে কর্মকর্তারা। ঘুর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস। তাই চার নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কক্সবাজার জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ইউএনও সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সভা, পরামর্শ করা হয়েছে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে স্থানীয় সম্পদ ও সিপিপি ভলান্টিয়ার সহ জনবল, স্থানীয় যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিপদ সংকেত বাড়লে উপকূলীয় এলাকার জনগণকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি স্কুল-কলেজসমুহ আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকবে।
জেলা প্রশাসক জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ পরবর্তী তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়ার জন্য এই মুহুর্তে ২৬৫ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ১২২ বান্ডেল ঢেউটিন ও ৫০০ তাবু রয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে জরুরী ভিত্তিতে শুকনো খাবার সহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী, উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি দুটি উপজেলায় প্রস্তুতি ও সম্ভাব্য উদ্ধার ও ত্রাণকার্য পরিবীক্ষণের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় থেকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় যথাযথ দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, ঘুর্ণিঝড়ের গতিবধি ও সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের সাথে সার্বিক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com