সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণের এই সময়েও শেখ রেহানা সম্পর্কে খুব বেশি জানার সুযোগ নাই।
তিনি নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন ব্যাপারটা ঠিক এমনও না।
তবে একথা ঠি ক তিনি নিজেকে কখনো তুলে ধরেননি ক্ষমতার মঞ্চে,ব্যবসার বিকাশে কিংবা সস্তা জনপ্রিয়তার মোহে।
তিনি সর্বদাই দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে রয়েছেন,তবে সেখানে নাই বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক বহুরৈখিকতা।
আর একারণেই রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ কখনো মূলকেন্দ্রবিন্দু (বঙ্গবন্ধু পরিবার)থেকে অতি সামান্য পরিমাণেও আপোষ করেনি গণমানুষের মুখপাত্র হয়ে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে!
পিতার স্নেহের পরশে রেহানা
দেশরত্ন শেখ হাসিনার সকল সংকটে শেখ রেহানা ছুটে এসেছেন; ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে ওয়ান ইলেভেন এমন কোন বিরূপ পরিস্থিতি নাই যেখানে তিনি বোনের পাশে ছিলেন না।
জাতীয় শোক দিবসে চোখ ছলছল অবস্থায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার পাশে শেখ রেহানাকে যখন দেখি তখন তিনি পরিবারের হারিয়ে যাওয়া সদস্যদের শোকে কাতর৷
হয়তো তখন হারিয়ে যাওয়া মানুষের সাথে সাথে
তিনি নিজের হারিয়ে যাওয়া নামটাও খুঁজেন স্মৃতির গহ্বরে, কান্নাভেজা অতীতের স্রোতে।
শেখ রাসেল তাকে “দেনা আপা” বলে ডাকতেন
আর নামটি শেখ রেহানার ভীষণ রকমের প্রিয় ছিলো।
ছোট্ট ভাইয়ের সাথেসাথে প্রিয় ডাক নামটিও হারিয়ে গেছে,
তবুও নিশ্চয়ই হয়তো এখনো সেই নাম তাঁর কানে বাজে।
১৯৭৪ সালে শেখ রেহানার বিয়ে ঠিক করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।মহা ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন হবে এমনটিই ইচ্ছে ছিলো সবার।
কিশোরী শেখ রেহানার কোলে জয়
পরিবারের পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করেছিলেন তিনি তবে তখন বড়ো বোন ছাড়া পরিবারের আর কেউ জীবিত নাই।এইসব দগদগে ক্ষত নিয়ে তিনি সবসময় দেশ ও জনগণের পাশে ছিলেন আস্থার প্রতীক হয়ে।
শেখ রেহানা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন অনুপ্রেরণা ও আদর্শের এক নক্ষত্র হিসেবে।ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও এরকম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল।
অসংখ্য মানুষের ভালবাসার স্পন্দনে আজীবন মুখরিত থাকুন।
শুভ জন্মদিন “ছোট আপা”….
লেখক : সম্পাদক, দৈনিক দৈনন্দিন
সভাপতি, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com