দেশের একমাত্র পাহাড়ে ঘেরা দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী। এ দ্বীপ উপজেলাকে ঘিরে চলছে সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প। প্রায় ছোট-বড় অর্ধ-শতাধিক প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান হয়েছে এ অঞ্চলে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলেই আগামী ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে আলো ছড়াবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন ২ হাজার ৪৯১ দশমিক ৮৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মহেশখালী দ্বীপের অধিকাংশ জমিই এখন অধিগ্রহণ করা হচ্ছে মেগা প্রকল্পের জন্য। দ্বীপের দক্ষিণ ও পশ্চিমে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জেগে ওঠা চরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা সরকার কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে, ইতোমধ্যে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনের ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের। একই সাথে এগিয়ে চলেছে বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণ কাজ। ২০২৩ সালেই বন্দরের কাজ সম্পন্ন করা হবে। সামুদ্রিক যোগাযোগ সহজ হওয়ায় মহেশখালীতে আমদানিকৃত গ্যাসের ডিপো স্থাপনসহ আরও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী দ্বীপের নয়টি মৌজায় বিশাল এলাকাজুড়ে চর জেগে উঠেছে। এরই মধ্যে ২৬ হাজার ৩০০ একর নতুন জেগে ওঠা চর শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গায় আছে কমপক্ষে ১৬ হাজার একর জমি। শুধু মহেশখালীতেই হচ্ছে চারটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। দ্বীপের ঘটিভাঙ্গা, সোনাদিয়া, কুতুবজোম ও ধলঘাটায়। জেগে ওঠা ১৫ হাজার ৮৭২ একর জমিতে স্থাপন করা হচ্ছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিগ্রহণ হচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার একর জমি।
কুতুবজোমের ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন দৈনন্দিন.কম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে মহেশখালীতে একটি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় মহেশখালীর বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে। যেটির দুর্ভোগ এখন আর নেই। এ ছাড়া সকল উন্নয়ন প্রকল্পও এখন দৃশ্যমান। আশাকরি আগামী দুই বছরের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে।
সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বার্তা দৈনন্দিন.কম কে বলেন, ‘মহেশখালীতে চলমান উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। সরকারের শুরুতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, এলএনজি টার্মিনাল এসব প্রকল্পের সুফল পাবে দেশবাসী।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন দৈনন্দিন.কম কে বলেন, ‘যে সকল প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে তা সর্বোচ্চ গতিতে কাজ চলছে। মহেশখালীকে ঘিরে সরকারের বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটতে শুরু করেছে।’
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com