নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বার্ষিক সাধারণ সভা স্থগিত থাকায় বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন করে গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উক্ত বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতি লঙ্ঘন এবং স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে তাৎক্ষণিক মুহুর্তে জেলা সমবায় কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি উক্ত বিশেষ সাধারণ সভাকে বৈধতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
শনিবার (২২ জুন) দুপুর ২টায় বিশেষ সাধারণ সভা সুনির্দিষ্ট এজেন্ডার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সঠিক সময়ে সভার আয়োজন শুরু করতে পারেনি। উপরুন্তু কোরাম সংকটের আশংখা থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে উপস্থিতিদের দস্তখত সংগ্রহ করার অভিযোগও উঠে আসে। সাধারণ সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেলা আড়াইটা বেজে গেলেও কার্যালয় যেখানে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো সেটি তালাবদ্ধ। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি ঠের পেয়ে সমিতির কর্তা ব্যাক্তিরা কোরাম সংকট টেকাতে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠে। এরপরও উক্ত সভায় ৩১জনের উপস্থিতি দাবী করে এবং কোরাম সংকট হয়নি বলে মন্তব্য করে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন।
সমিতির সাধারণ সদস্য সাজ্জাদুল করিম জানান, তিনি বেলা ৩টা ১০ মিনিটে উপস্থিত ২৬তম সদস্য হিসেবেই সাক্ষর করেন এবং সময় উল্লেখ করে দেন। কিন্তু উক্ত দস্তখত খাতা থেকে তার লিখে দেওয়া উল্লেখিত সময়টি কর্তৃপক্ষ মুছে দেয় বলেও অভিযোগ করেন।
এদিকে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান- পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সমিতির কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই বেলা ৩টার মধ্যে কোরাম পূর্ণ করতে হতো। কিন্তু তারা করতে সক্ষম হয়নি বলে খবর পেয়েছি। সুতরাং আইনানুগ ভাবে উক্ত বিশেষ সাধারণ সভা বৈধতা হারিয়েছে এবং এসভা তাদের পূনরায় নিয়ম মেনে আহ্বান করতে হবে।
Copyright @ 2021
Development by: webnewsdesign.com